• ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, বুধবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Party Worker

রাজনীতি

সাংবাদিক বৈঠক: 'তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই'

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সেখান থেকে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, দলের আসল সম্পদ দলীয় কর্মীরাই। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান তাঁরাই। বাংলা জয়ের পর তৃণমূলের দেশ জয়ের ব্লু প্রিন্টের প্রাথমিক খসড়াও দিয়ে দিলেন তিনি। সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সবমিলিয়ে অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদের মতোই সামলালেন সাংবাদিকদের প্রশ্নপর্বও। ২০০৭ সাল থেকে রাজনীতিতে থাকলেও এর আগে অভিষেককে সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। এবার নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর সোমবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তিনি। সেখান থেকে দলীয় কর্মীদের তাঁর বার্তা, দলে প্রথম বা প্রধান মুখই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ম্যান কর্মীরাই। আমি না। যাঁরা লড়াই করে বাংলায় দলকে ক্ষমতায় এনেছে। এদিন তিনি জানান, দল নতুন দায়িত্ব দিয়েছে। প্রবীণদের আর্শীবাদ নিয়ে কাজ করছি। গতকাল সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছি। আজ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করব। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নেওয়ার পর অভিষেকের এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।পরিবারতন্ত্র, পিসির ভাইপো এ ধরনের অরাজনৈতিক আক্রমণে বিদ্ধ তিনি। রাজনৈতিক পথেই তার সপাট জবাব দিয়েছেন।আর তাতেই পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদে।তিনি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত স্নেহ, ভরসার পাত্র বুঝিয়ে দিলেন তাঁর লক্ষ্য স্থির। বললেন, যে দায়িত্ব পেয়েছি, তাতে আগামী দিনে দলের বিস্তারে আরও কাজ করব।দলকে সর্বোচ্চ স্তরে নিয়ে যাব। লিখে রাখুন, আগামী কুড়ি বছর রাজ্য প্রশাসনের কোনও পদ আমি নেব না। পরিবারতন্ত্র নিয়ে কটাক্ষেরও জবাব দিলেন প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে।এদিনের সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও খোঁচা দেন অভিষেক। বললেন, বিরোধী দলনেতা কুৎসা করছেন। ৪০ লক্ষ বাঙালি বিজেপিশাসিত রাজ্যে রয়েছেন বলে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছেন। আমি বলব, কুৎসা করবেন না। বিরোধী দলনেতার ভূমিকা পালন করুন।

জুন ০৭, ২০২১
রাজ্য

উলেন রায়ের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির

উলেন রায়ের মৃত্যুতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি। মঙ্গলবার উলেন রায়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে উত্তরবঙ্গ বনধ ডাকে বিজেপি। এদিন সকাল থেকেই বনধকে সফল করতে শিলিগুড়ির রাজপথে মিছিল করে বিজেপির একাধিক সাংসদ, রাজ্য ও জেলা নেতৃত্ব। মিছিলে নেতৃত্ব দেন সায়ন্তন বসু, সাংসদ রাজু বিস্তা, নিশিথ প্রামাণিক এবং অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির জেলার অন্যান্য কার্যকর্তারা। এই মিছিল থেকেই মৃত বিজেপি কর্মীর উলেন রায়ের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করেন দার্জিলিং-এর সাংসদ রাজু বিস্তা। এই দাবিতে অবিলম্বেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে বিজেপি এমনটাও জানান তিনি। এদিন উলেন রায়ের ময়নাতদন্তের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাংসদ। পাশাপাশি গোটা ঘটনার সিবিআই তদন্ত চেয়ে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হচ্ছেন বিজেপি সাংসদরা। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। প্রমান লোপাট করতেই রাতের অন্ধকারে ময়নাতদন্ত করেছে প্রশাসন। যদিও রাজ্যপুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে যে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী শটগানের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে উলেন রায়ের। পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই কেউ শটগান এনেছিলেন এবং খুব কাছ থেকেই গুলি ছোঁড়া হয়েছে। আরও পড়ুন ঃ বিজেপি নিজে খুন করে বলছে পুলিশ মেরেছেঃ মমতা অন্যদিকে, উলেন রায়ের মৃত্যু নিয়ে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। ময়নাতদন্ত শেষ করে রাতারাতি দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয় পরিবারকে। এমন অভিযোগ মৃতের পরিবারের। তবে এই অবস্থায় দেহ বাড়ি নিয়ে যেতে অস্বীকার করেন উলেন রায়ের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন তারা। তাঁদের অভিযোগ, ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে জানিয়ে তাঁদের মুচলেকা লিখতে বলা হয় পুলিশের তরফে। মুচলেকায় অজ্ঞাত পরিচয়ের দেহ লিখতে বলায় তাঁরা দেহ নিতে অস্বীকার করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, সাদা কাগজে পুলিশের লেখা বয়ানেই জোর করে সই করতে হয়েছে তাঁদের। এমনকি মুচলেকায় উলেন রায়কে বিজেপি কর্মী বলে উল্লেখ করা হয়নি। রাতে কেন ময়নাতদন্ত হল? পাশাপাশি বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চাপ কেন এমন একাধিক অভিযোগ জানিয়ে ফের দেহের ময়নাতদন্তের দাবি করেছে উলেন রায়ের পরিবার। এছাড়াও উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়ের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নিল উত্তরবঙ্গের বিজেপির চার সাংসদ। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি গ্রামপঞ্চায়েতের মেনঘোড়া গ্রামে যান কোচবিহারে বিজেপি সাংসদ, নিশিথ প্রামানিক, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়, দার্জিলিং -এর সাংসদ রাজু বিস্তা, বিজেপির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন মৃতের পরিবারকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। এছাড়াও ওই পরিবারের পাশে সবসময় থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ডিসেম্বর ০৮, ২০২০
কলকাতা

সম্মান না পাওয়ায় তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের

দলে পর্যাপ্ত সম্মান পাচ্ছেন না , এই অভিযোগে শনিবার তৃণমূল ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন দলীয় কর্মীরা। এদিন বেলার দিকে মেদিনীপুর থেকে দার্জিলিং বিভিন্ন প্রান্তের কয়েকশো কর্মী জড়ো হন তৃণমূল ভবনের সামনে। নিরাপত্তারক্ষীরাও তাঁদের সরাতে পারেননি। সারা দুপুর তৃণমূল ভবনের সামনের রাস্তা দুধারে তাঁরা অবস্থান করেন। কখনও কখনও স্লোগান তুলে বিক্ষোভও দেখান। বারবারই দাবি করতে থাকেন যে তাঁরা নেত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকেই সমস্যার কথা জানাবেন। আরও পড়ুন ঃ কেন্দ্রে এখন ফেক নিউজের সরকার চলছেঃ কাকলি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের বক্তব্য, আমরা দলের বহু পুরনো কর্মী। কিন্তু তেমন গুরুত্ব পাচ্ছি না। ভোট কিংবা দলের অন্যান্য কাজে আমাদের ডাকা হচ্ছে না। তাই আমরা নেত্রীর কাছে জানতে এসেছি, এর কারণ কী। আমরা আবার ভোটের কাজ করতে চাই আগের মতো। আমাদের দলকে ফের ক্ষমতায় আনতে চাই।এরপর পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন সুব্রত বক্সি। তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন, অভিযোগের কথা শোনেন। তারপর জানান যে আগামী বৃহস্পতিবার তাঁদের এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তিনি নিজে আলোচনায় বসবেন। সমস্ত শুনে সমাধানের চেষ্টা করবেন। এতে খানিকটা আশ্বস্ত হন দলীয় কর্মীরা। অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে ফিরে যান।

নভেম্বর ২১, ২০২০
রাজ্য

দলীয় কর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ বিজেপির

অন্যায়ভাবে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকেই খড়্গপুর টাউন থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের প্রথমে বচসা বাধে। তারপর ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। প্রসঙ্গত , বুধবার খড়্গপুর শহরের আঠারো নম্বর ওয়ার্ডের কার্যকর্তা লিপু বেরাকে গ্রেপ্তার করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। আরও পড়ুন ঃ রাজ্যে শুরু লোকাল ট্রেন চলাচল এরই প্রতিবাদ জানাতে খড়গপুর টাউন থানা ঘেরাওয়ের ডাক দেয় বিজেপি। বিজেপির এই কর্মসূচির জেরে খড়্গপুর শহরে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় প্রচুর পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়।

নভেম্বর ১১, ২০২০
রাজ্য

অমিত শাহকে খাইয়েও মনের কথা বলা হল না বিভীষণ হাঁসদার

রাজ্য সফরে এসে পূর্বসূচি অনুযায়ী চতুরদিহি গ্রামে গিয়ে বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দুপুর তিনটে নাগাদ তিনি বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি প্রথমে উঠোনে থাকা খাটিয়াতে বসেন। তারপর তাকে যখন খেতে দেওয়া হয় , তখন তিনি খেঁজুর পাতার চাটাইয়ের উপর বসেন। কাঁসার থালার উপর কলাপাতায় মধ্যাহ্নভোজ সারেন তিনি। মেনুতে ছিল, ভাত, শাক, পটল বেগুন ভাজা, বিউলির ডাল, কুমড়োর ডালনা, আলু পোস্ত ও পোস্তর বড়া। আর শেষ পাতে ছিল চাটনি ও বেলিয়াতোড়ের বিখ্যাত মেচা সন্দেশ। তিনি অবশ্য মিষ্টি খাননি। তাঁর সঙ্গে খেতে বসেছিলেন বিভীষণ হাঁসদা , দিলীপ ঘোষ , কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহা-সহ অন্য নেতারাও। খাওয়ার পর রান্নার প্রশংসা করতে ভোলেননি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি টুইটে লেখেন, চতুরডিহি গ্রামে শ্রী বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে চমৎকার বাঙালি খাবার খাওয়ার সুযোগ পেলাম। কোনো শব্দই তাদের আতিথেয়তা বর্ণনা করতে পারবে না। আরও পড়ুন ঃ অমিত শাহকে রেঁধে খাওয়ানো গীতা মাহালিকে হোমগার্ডের চাকরি দিল রাজ্য অবশ্য বিজেপি কর্মী বিভীষণ হাঁসদা বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী মণিকাকে নিয়ে আমাদের পরিবারে মোট ৬ জন সদস্য। দিনমজুরির কাজ করেই সংসার চলে। আমার একটি ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। মেয়ে রচনা হাঁসদা বর্তমানে ক্লাস টুয়েলভ পড়ে। এমনিত পড়াশোনায় ভাল তবে মধুমেহ রোগের জন্য তাকে মাসে তিন বার ইনসুলিন নিতে হয়। এর জন্য প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আমি ভেবেছিলাম আজ এই বিষয়ে সাহায্য করার জন্য আবেদন জানাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু, প্রচুর মানুষের ভিড় তাঁকে আর সেই কথা বলে উঠতে পারলাম না। তাই ভাবছি চিঠি লিখে মেয়ের চিকিৎসায় সাহায্য করার জন্য ওনার কাছে আবেদন জানাব।

নভেম্বর ০৫, ২০২০
রাজ্য

পুলিশ - বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত বাগনান , আটক ৬

দলীয় কর্মীর হত্যার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বন্ধের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাগনান । বৃহস্পতিবার সেখানে মিছিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে। তাতেই পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাকর্মীরা বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। পরে অবশ্য সৌমিত্র খাঁকে এলাকায় ঢুকতে দেয় পুলিশ। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ৬ বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে। কেন দলীয় কর্মীদের আটক করা হল, তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন সৌমিত্র খাঁ। এরপরই টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। বাগনান থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। পালটা এলাকায় শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। বাগনান স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল কর্মীরা। সৌমিত্র খাঁ বলেন, আমাদের দলীয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে। আর আমাদেরই মিছিল করতে দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের কর্মীদের মারধর করে গ্রেফতার করছে পুলিশ। আর সেখানে তৃণমূল নেতারা আজ মিছিল বের করলেন। এছাড়াও হাওড়া জ্বলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বাগনানের বিজেপি নেতা কিঙ্কর মাজির মৃত্যু নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন , যে কর্মীকে আমাদের গুলি করা হয়েছিল সে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করতে করতে গতকাল মারা যায়। সে রকম সিতাই, মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনার একজন মারা গিয়েছে। পুজোর মধ্যেও এই খুনখারাপি চলেছে। আমার মনে হয় এগুলো ইচ্ছা করে করছে। প্রশাসনের উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই সরকারের। যারা সমাজবিরোধী তারা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সাধারণ মানুষকে খুন করছে। অন্যদিকে , দলীয় কর্মীর হত্যার প্রতিবাদে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাগনান বন্ধে অধিকাংশ দোকান খোলেনি। অবশ্য বাগনানের স্টেশনের দক্ষিণ পাশে দোকানপাট খোলাই ছিল। বাসস্ট্যান্ডে দেখা মিলেছে অটোর। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় যানবাহন চলাচল কিছুটা কম। এছারাও ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে স্বাভাবিক ছিল যান চলাচল। আরও পড়ুন ঃ কোনও নির্দিষ্ট লক্ষ্যর জন্য কাজ করলে হবে নাঃ শুভেন্দু প্রসঙ্গত , অষ্টমীর রাতে বাগনানের চন্দনাপাড়া গ্রামে কিঙ্কর মাজি নামে এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মী পরিতোষ মাজির বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় প্রথমে কিঙ্করকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রেফার করা হয় এনআরএস-এ। সেখানেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূলের দাবি, এই ঘটনায় তাদের কোনও যোগ নেই।

অক্টোবর ২৯, ২০২০

ট্রেন্ডিং

কলকাতা

বুধবারই সিদ্ধান্ত! ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ কি তবে চূড়ান্ত?

শেষ হল প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি। গত ১২ নভেম্বর এই মামলার শুনানি হয়েছিল কলকাকা ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রায়দান সেই সময় স্থগিত রেখেছিলেন। অবশেষে বুধবার এই গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।২০১৬ সালে SSC-এর নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসে। সেই সময় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় হাইকোর্ট, পরে সেই রায় বহাল রাখে Supreme Court of India। এরপর প্রাথমিকে নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই মামলায় তৎকালীন বিচারপতি Abhijit Gangopadhyay ২০২৩ সালে প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। যদিও তিনি বলেছিলেন, শিক্ষকরা স্কুলে যেতে পারবেন এবং তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছিল।২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ২০১৬ সালে প্রায় ৪২,৫০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। সেই পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। মামলাকারীদের দাবি ছিল, ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। অন্য দিকে পর্ষদের বক্তব্য, কিছু ক্ষেত্রে ভুল হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু তা পরে সংশোধন করা হয়েছে।এরপর একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে মামলাটি যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেই সময় বিচারপতি Subrata Talukdar ও বিচারপতি Supratim Bhattacharya একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন। তবে তাঁরা নতুন করে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশও দিয়েছিলেন। পরে রাজ্য সরকার ও পর্ষদ সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায়। শীর্ষ আদালত মামলাটি আবার হাইকোর্টে ফেরত পাঠায় এবং দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মামলা শুনেই এবার রায় ঘোষণা করতে চলেছে বর্তমান ডিভিশন বেঞ্চ।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

মোদী গেলে বিজেপি শেষ, মমতা থাকলে তৃণমূল অজেয়—কল্যাণের বিস্ফোরক মন্তব্য

বিজেপিতে যেমন নরেন্দ্র মোদি সবার মূল মুখ, তেমনই তৃণমূলে একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, যত দিন মোদী রয়েছেন, তত দিন বিজেপি টিকে থাকবে। ঠিক সেই ভাবেই যত দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তত দিন তৃণমূলকে কেউ নড়াতে পারবে না। কল্যাণের কথায়, দল চলে মমতার নামেই, বাকিরা কী বলছেন, তাতে দলের কিছু আসে যায় না।মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মন্তব্যে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, মোদী থাকলে যেমন পদ্মফুল ফুটবে, তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে তৃণমূলকে কেউ ঠেকাতে পারবে না। আগেও একাধিকবার তিনি বলেছেন, তাঁর কাছে একমাত্র নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্য কিছু তাঁর মাথায় থাকে না।তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নেতৃত্ব নিয়ে টানাপোড়েন নতুন নয়। এক সময় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে বক্তব্য রাখায় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তখন অনেকেরই মত ছিল, এতে তৃণমূলের অন্দরের নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। সেই সময় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রবীণ নেতাদের অবস্থান বারবার আলোচনায় এসেছে।এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূলে এখনও এমন অনেক প্রবীণ নেতা রয়েছেন, যাঁরা সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূলের মুখপাত্রের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখই আসলে তৃণমূলের মুখএ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

করদাতা কমল বাংলায়! অমিতের খোঁচা—অভিষেকের কড়া পালটা

পশ্চিমবঙ্গেই করদাতার সংখ্যা কমে গিয়েছেএই তথ্য ঘিরে সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য। তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, রাজ্যে শিল্প নেই, কাজের সুযোগ কম এবং তাই আয়ও কম হচ্ছে; মোদী সরকারের আয়কর ছাড়ের সুবিধা গ্রহণ করায় বাংলায় করদাতা কমেছেএটাকে তিনি মোদী সরকারের উপহার হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বিষয়টি সামনে চলে আসার পর বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ি সাংবাদিক বৈঠক করে এ নিয়ে কথা বলেন।বিধায়ক অশোক দাবি করেন, ২০২৪-২৫ সালের অ্যাসেসমেন্টে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি মাত্র ২ লাখ হয়েছে, আগের বছরে যা ছিল ৩ লাখঅর্থাৎ বাড়তি সংখ্যা কমেছে। তিনি বলেন, মোদী সরকার ইনকাম ট্যাক্সে ছাড় দেয়ায় মধ্যবিত্তদের কর কমেছে, তাই ট্যাক্স রিলিফ পাওয়া নিয়েই এই পতন হয়েছে।দুইপাশেই পালটা দাবি ও প্রতিক্রমা তুঙ্গে। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসকল হিসেব তুলে ধরে বলেছেন, গত সাত বছরে কেন্দ্রীয় সরাসরি ও পরোক্ষ কর যোগ করে বাংলা থেকে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়েছেমোট প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, ওই সময়ে কেন্দ্র থেকে বাংলায় ফেরত দেওয়া বকেয়া প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। অভিষেকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৭১৮ থেকে ২০২৩২৪ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কন্ট্রিবিউশন ক্রমানুসারে বেড়েছে; ২০১৭১৮ সালে রাজ্য দিয়েছে ৬৩,৪০৭ কোটি, ২০১৮১৯ এ ৮৪,৪১৯ কোটি, ২০১৯২০ এ ৮৪,০১৫ কোটি, ২০২০২১ এ ৮০,০০৪ কোটি, ২০২১২২ এ ১,০১৭৬৭৩ কোটি, ২০২২২৩ এ ১,১৩,৬২১ কোটি এবং ২০২৩২৪ এ ১,২২,৯৮৮ কোটি টাকা।অভিষেকের তথ্যে ফের অমিত মালব্য রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেনআর এতে রাজনীতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পালটা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে পিছিয়ে রাখার চেষ্টাই করছে; বাংলায় শিল্প প্রতিষ্ঠা না করতে নানা কৌশল চালানো হচ্ছে। তিনি যুক্তি দেখান যে অনেক ক্ষেত্রে এমএসএমই-তে বাংলা এগিয়ে আছে এবং অমিতবাবুর আঙুল তোলা তথ্য মিথ্যা মন্তব্যের ওপর ভিত্তি করে। তাঁর শব্দে, বাংলা থেকে কত ট্যাক্স নেওয়া হচ্ছে, সেটা আগে খতিয়ে দেখতে হবে।রাজনৈতিক তর্ক-ঝগড়ার মাঝেই সাধারণ মানুষ, শিল্প এবং চাকরির বাজার নিয়েও যে প্রশ্ন তুলেছে এই বিতর্ক, তা স্পষ্ট। আগামী দিনে কর-সংশ্লিষ্ট পরিসংখ্যান এবং কেন্দ্ররাজ্য আর্থিক লেনদেন নিয়ে আরও তৎপরতার সম্ভাবনা দেখছেন সব পক্ষই।

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
রাশিফল

আজকের দিনে 'মীন' রাশির জাতকের "নথিতে সুবিধা"। আজ মঙ্গলবার আপনার কেমন যাবে জেনে নিন

২ ডিসেম্বর ২০২৫ মঙ্গলবার, আপনার রাশিচক্র অনুযায়ী দিনটি কেমন কাটবে তা জানতে নিচে প্রতিটি রাশির জন্য সংক্ষিপ্ত রাশিফল দেওয়া হলো:🐏 মেষ (Aries): নতুন দায়িত্ব আসবে।🐂 বৃষ (Taurus): কেনাকাটায় আনন্দ।👥 মিথুন (Gemini): মিটিং সফল।🦀 কর্কট (Cancer): মানসিক চাপ কমান।🦁 সিংহ (Leo): আয়ের সুযোগ।🌾 কন্যা (Virgo): সঙ্গীর সমর্থন।⚖️ তুলা (Libra): সংযোগ বাড়বে।🦂 বৃশ্চিক (Scorpio): পুরনো কাজ এগোবে।🏹 ধনু (Sagittarius): ভাগ্য সহায়।🐐 মকর (Capricorn): কাজে মনোযোগ দিন।🌊 কুম্ভ (Aquarius): পরিচিত বাড়বে।🐟 মীন (Pisces): নথিতে সুবিধা।যে কোনও সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য যোগাযোগ করুনঃ শ্রী সূপর্ণ (জ্যোতিষী)যোগাযোগঃ ৯৮৩০০৬৫২৪০, ওয়েবসাইটঃ www.srisuparna.com

ডিসেম্বর ০২, ২০২৫
কলকাতা

৭ হাজার ২৯৩ ‘দাগি’র পুরো নাম প্রকাশ করতেই হবে, SSC-কে কড়া নির্দেশ

নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই ফের মামলার মুখে পড়ল এসএসসি। অযোগ্য প্রার্থীরা কীভাবে আবার পরীক্ষায় বসছে, তা নিয়েই মামলা ওঠে কলকাতা হাইকোর্ট-এ। এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা আবারও কড়া নির্দেশ দিলেন। বুধবারের মধ্যেই ৭ হাজার ২৯৩ জন দাগি বা অযোগ্য প্রার্থীর পুরো তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি-কে।এটা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বার শীর্ষ আদালত ও হাইকোর্ট এসএসসি-কে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে বলেছিল। সেই মতো কিছু তালিকা প্রকাশও করা হয়েছিল। পরে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবার দাগি প্রার্থীদের নাম উঠে আসায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়।বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, অযোগ্যদের নাম, অভিভাবকের নাম, রোল নম্বর-সহ সব তথ্য প্রকাশ করতে হবে। সেই মতে গত ২৭ নভেম্বর এসএসসি ১ হাজার ৮০৬ জন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষক-শিক্ষিকার নাম প্রকাশ করে, যাঁরা তখন চাকরি করছিলেন।কিন্তু এ দিন আদালত জানায়, এসএসসি যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তা সম্পূর্ণ নয়। এসএসসি আগেই জানিয়েছিল মোট অযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৯৩ জন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শুধু গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ৩ হাজার ৫১২ জন এবং ১ হাজার ৮০৬ জন শিক্ষকের তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বাকি সবার সম্পূর্ণ তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি।এ বার আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আউট অফ প্যানেল, র্যাঙ্ক জাম্প এবং ওএমআর মিস ম্যাচএই সব ধরনের অনিয়মে যুক্ত মোট ৭ হাজার ২৯৩ জনের বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতেই হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ প্রক্রিয়া যাতে পুরোপুরি স্বচ্ছ হয়, তা নিশ্চিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্যানেল প্রকাশের পর যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের তালিকাও আগামী শুনানিতে আদালতে জমা দিতে হবে।এই ৭ হাজার ২৯৩ জনের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মীদুপক্ষই। অনেকেই তখন চাকরি করছিলেন, আবার কেউ কেউ তালিকায় থাকলেও চাকরিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে এবার আদালত সকলেরই সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে আবারও চাকরি কেলেঙ্কারি নিয়ে চরম রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

ভুয়ো নাম ঢোকানোর অভিযোগের পরই কি কমিশনের ইউ-টার্ন? বদলে গেল পুরো সিস্টেম

৯৯ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম জমা পড়ে গিয়েছে। তবুও এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠে চলেছে। এক দিকে সোমবার বিএলও-দের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। অন্য দিকে বিজেপি ও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্লক লেভেল অফিসারদের উপর চাপ দিয়ে ভুয়ো নাম ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সোমবার থেকেই বিএলও অ্যাপে আনা হল বড় বদল।এখন পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করার পর বিএলও-রা সেই তথ্য অ্যাপে এন্ট্রি করতেন। কিন্তু একবার এন্ট্রি হয়ে গেলে আর সংশোধনের কোনও সুযোগ ছিল না। মঙ্গলবার থেকে সেই নিয়ম বদলে যাচ্ছে। এবার অ্যাপে যুক্ত করা হল এডিট অপশন। অর্থাৎ কোনও ভুল হলে এবার বিএলও-রা নিজেরা সংশোধন করতে পারবেন, পাশাপাশি ইআরও-রাও সেই তথ্য এডিট করতে পারবেন।সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের আসার পরেই এই বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগের চাপেই কি এই বদল? সেই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। কারণ বিরোধীদের দাবি ছিল, জোর করে ভুয়ো নাম এন্ট্রি করানো হচ্ছে বিএলও-দের দিয়ে।সোমবার রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজে সিইও দফতরে গিয়ে এই অভিযোগ জানান। তিনি বলেন, বিএলও-দের থেকে ওটিপি নিয়ে আইপ্যাক-এর লোকেরা বেআইনিভাবে নাম ঢোকাচ্ছে। তাঁর নেতৃত্বেই বিজেপির প্রতিনিধিরা সেদিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেন।এই অভিযোগের পরই নির্বাচন কমিশন বিএলও অ্যাপে এই গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। নতুন ব্যবস্থায় ভুল ধরার পাশাপাশি সংশোধনের সুযোগ থাকায় এবার নাম এন্ট্রি নিয়ে স্বচ্ছতা বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
কলকাতা

CEO দফতরের সামনে নজিরবিহীন ধুন্ধুমার! মুখোমুখি বিএলও আর বিজেপি বিধায়করা

সোমবার সকাল থেকেই কলকাতার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে তুমুল উত্তেজনার ছবি ধরা পড়ল। একেবারে নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে তৃণমূলপন্থী বিএলও-দের একাংশ স্মারকলিপি জমা দিতে দফতরের সামনে জমায়েত করেন। ঠিক সেই সময় পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিজেপি বিধায়করা সেখানে পৌঁছন। শুরু হয় স্লোগান আর পাল্টা স্লোগান। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।বিএলও-দের দাবি ছিল, এসআইআর-এর কাজে যুক্ত থাকা মৃত কর্মীদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং সাত দিনের সময়সীমা বাড়িয়ে অন্তত দুমাস করতে হবে। তাঁরা স্মারকলিপি দিতে এসেছিলেন। সকাল থেকেই ওই এলাকায় পুলিশের বিশাল বাহিনী মোতায়েন ছিল। বিএলও-রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করতেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপি বিধায়করা। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়। পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। সেই ব্যারিকেড টপকে অনেকেই সামনে চলে আসেন।এই উত্তপ্ত অবস্থার মধ্য দিয়েই বিজেপি বিধায়করা ভিতরে প্রবেশ করেন। তাঁরা প্রায় দেড় ঘণ্টা ভিতরে ছিলেন এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল-এর সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি জমা দেন। ভিতরে থেকেই ফেসবুক লাইভও করা হয়। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলে বলেন, ২৬, ২৭ এবং ২৮ নভেম্বরের ভোটার তালিকার সব এন্ট্রি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অডিট করাতে হবে।বিধায়করা বাইরে বেরোতেই পরিস্থিতি আরও তপ্ত হয়ে ওঠে। শুভেন্দুকে ঘিরে বিএলও-রা স্লোগান দিতে থাকেন। সেই সময় গাড়িতে ওঠার আগে শুভেন্দু গাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে হাত তুলে পাল্টা চোর চোর স্লোগান দেন। মুহূর্তে ভিড় আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে। গোটা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায় পুলিশ।রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার এই ধরনের প্রকাশ্য স্লোগান রাজ্যের রাজনীতিতে বিরল। দিনভর মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দফতরের সামনে কার্যত রাজনৈতিক যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি দেখা গেল।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫
রাজ্য

SIR-এর আতঙ্কের মাঝেই বড় স্বস্তি! নদিয়ায় বাংলাদেশি দম্পতির হাতে ভারতীয় নাগরিকত্ব

কেন্দ্র সরকার আগেই জানিয়েছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা মুসলিম শরণার্থী ছাড়া হিন্দু-সহ অন্যান্য ধর্মের শরণার্থীরা নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করলে নাগরিকত্ব পাবেন। ভোটার তালিকার বিশেষ পরিমার্জন বা SIR ঘিরে যখন রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ, ঠিক সেই সময় নদিয়ার রানাঘাটে এক বাংলাদেশি দম্পতির হাতে এসে পৌঁছল ভারতীয় নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট। তা পেয়ে স্বস্তিতে বুক ভরেছে তাঁদের।নদিয়ার তাহেরপুর থানার কামগাছি জয়পুর এলাকার বাসিন্দা লাতুরাম সিকদার ও তাঁর স্ত্রী পদ্ম সিকদার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন। লাতুরাম বাংলাদেশের সনাতনপুরে থাকতেন, আর পদ্ম থাকতেন পন্ডিতপুর এলাকায়। কট্টরপন্থীদের অত্যাচারের ভয়ে তাঁরা সীমান্ত পেরিয়ে নদিয়ায় চলে এসে বসবাস শুরু করেন। তাঁদের কাছে আগে থেকেই আধার কার্ড ছিল।চলতি বছরে বাংলায় SIR শুরু হলে তাঁরা চিন্তায় পড়ে যান, কারণ ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁদের নাম ছিল না। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা Citizenship Amendment Act অনুযায়ী ক্যাম্পে গিয়ে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেন। তাঁরা ১০ অক্টোবর আবেদন করেছিলেন এবং ১৯ নভেম্বর হাতে পান নাগরিকত্বের শংসাপত্র।নাগরিকত্ব পেয়ে পদ্ম সিকদার বলেন, তাঁরা খুব খুশি এবং কেন্দ্র যে পদ্ধতিতে আবেদন করতে বলেছে, সকলকে সেই নিয়ম মেনে আবেদন করার অনুরোধ জানান। লাতুরাম সিকদার বলেন, তাঁরা এক কাপড়ে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসেছিলেন প্রায় ৩৫-৩৬ বছর আগে। এখানেই বড় হয়েছেন, এখানেই তাঁদের সংসার। SIR শুরু হওয়ার পর ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ছিলেন, তবে কেন্দ্রীয় সরকার যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই অনুযায়ী আবেদন করেই তাঁরা নাগরিকত্ব পেয়ে গেলেন। এখন ভোট দেওয়ার অধিকারও পেলেন তাঁরা।এই বিষয়ে রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চ্যাটার্জি বলেন, শুরু থেকেই তাঁরা জানিয়েছিলেন আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এই দম্পতি নাগরিকত্ব পেয়েছেন, ভবিষ্যতে যাঁরা আবেদন করবেন, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন।উল্লেখ্য, এর আগেও জঙ্গি হামলায় নিহত বিতান অধিকারীর স্ত্রী ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। নদিয়ার এই দম্পতির নাগরিকত্ব পাওয়ার ঘটনায় নতুন করে আশা দেখছেন অনেক শরণার্থী পরিবার।

ডিসেম্বর ০১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal